নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বামুনিয়া এসসি উচ্চবিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। উপজেলা প্রশাসন কতৃক অনুষ্ঠিত তদন্তে ওই অভিযোগের সত্যতার কথা জানা গেছে।
অভিযোগ মতে, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী ও ২৩ জানুয়ারী বিদ্যালয়টির কম্পিউটার ল্যাব-অপারেটর, অফিস সহায়ক, আয়া ও ঝাড়ুদার পদে এক জন করে মোট চারটি পদের নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই নিয়োগে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক রনজিৎ অধিকারী (দিলীপ) ও প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান যোগসাজসের মাধ্যমে ৬০ লাখ টাকা নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এই নিয়োগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ডিজির প্রতিনিধি বিলকিস বানুর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে তদন্তে উঠে আসে।
বিষয়টি জানাজানি হলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ ও বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. আলী হোসেন জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন গত ২৮ জানুয়ারী। জেলা প্রশাসক অভিযোগটি তদন্তের জন্য ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামসহ দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। কমিটি ১৮ মার্চ থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করলে অভিযোগের সত্যতা পায়।
সূত্র মতে, নিয়ম লঙ্ঘন করে ওই নিয়োগ পরীক্ষায় জেলা প্রশাসকের কোন প্রতিনিধি রাখা হয়নি। একাধিক জনের সাক্ষাৎকার গ্রহন, প্রার্থীর উপস্থিতি, পরীক্ষার খাতা, নম্বরপত্র যাচাই করে নিদিষ্ট প্রার্থীর সঙ্গে ডামি প্রার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহন এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অর্থ লেন দেনের বিষয়টি নিশ্চিৎ হয়েছে তদন্ত কমিটি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রমান ছাড়া কেউ বললেই কি হবে আমরা টাকা লেনদেন করেছি। তাছাড়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সমন্ধে তিনি কিছুই জানেন না বলেও জানান।
এবিষয়ে ডোমার উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম বলেন,‘তদন্ত শেষে সম্প্রতি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডিজি প্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে’।
৫ আগষ্টের আগে লাগতো এক টাকা এখন লাগে ১০ টাকা
‘থানায় টাকা ছাড়া কাজ হয় না। ৫ আগষ্টের আগে কাজ করতে লাগতো এক টাকা নতুন স্বাধীনতার পর এখন তা বেড়ে লাগে ১০ টাকা টাকা।’ এমন অভিযোগ করেছেন ডোমারের সিনিয়র সাংবাদিক…